বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

এবার ঘরে বসেই পেসিয়াল করুন খুব সহজে

ত্বকের ভেতর ধুলাবালি জমে বিশেষ করে রোমকূপের গোড়ায় যেসব ময়লা আটকে থাকে, সেসব ময়লা সহজে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। ময়লা আর অতিরিক্ত তেল একত্রিত হয়ে হোয়াইট হেড, ব্ল্যাকহেডসহ ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া একটি বয়সের পর ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে প্রয়োজন পড়ে বাড়তি পুষ্টি। আর এসব কিছুর সহজ সমাধান পাওয়া যায় ফেসিয়ালের মাধ্যমে।
সপ্তাহে একবার ফেসিয়াল করতে পারলে ত্বকের জন্য উত্তম। তবে সম্ভব না হলে কমপক্ষে মাসে একবার ফেসিয়াল করতে হবে।
ফেসিয়াল করুন ঘরে বসেই!
ঘরোয়া ফেসিয়ালের নিয়ম-কানুন
ধাপ-১:
ফেসিয়াল করার আগে একটু বড় গলার জামা ব্যবহার করুন। মাথার চুল আঁচড়ে পেছন দিকে ভালো করে বেঁধে ফেলুন, যাতে মুখ বা কপালের ওপর এসে না পড়ে। সাবান দিয়ে ভালো করে দুহাত ধুয়ে নিন। অল্প পরিমাণে লোশন নিয়ে মুখমণ্ডল, গলা ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ক্লিনজিং করার পরই ফ্রেশনিং করবেন। তুলা পানিতে ভিজিয়ে বাড়তি পানি বের করে নিন। এবার ভেজা তুলায় ৫-৬ ফোঁটা ফ্রেশনার ঢেলে নিন। মুখ, গলা ও ঘাড়ে তুলা বুলিয়ে নিন। আপনার ত্বক স্বাভাবিক বা মিশ্র হলে ফ্রেশনিং করার সময় টোনার ফ্রেশনার বা স্কিন টনিক ব্যবহার করবেন। এবার ময়েশ্চারাইজিং লোশন ভালো করে সারা ত্বকে মেখে নিন। পাঁচ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
ধাপ-২:
এবার ফ্রেসপ্যাক লাগানোর পালা। এ ক্ষেত্রে ত্বক বুঝে ফেসপ্যাক নির্বাচন করতে হবে। স্বাভাবিক ত্বকে মুলতানি মাটির মাস্ক, চন্দনের মাস্ক, মধু ও গাজরের ফেসপ্যাক, অলিভঅয়েল ও ডিমের ফেসপ্যাক, বেসন ও গাজরের ফেসপ্যাক, ময়দা ও মধুর মাস্ক লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে ওটমিল মাস্ক, মধুর মাস্ক, শসা ও ডিমের ফেসপ্যাক, কমলালেবু ও ডিমের ফেসপ্যাক, আপেল ও মধুর ফেসপ্যাক উৎকৃষ্ট। ত্বক শুষ্ক হলে দুধ ও ময়দার মাস্ক, দুধের সর ও মধুর মাস্ক, মাখন ও মধুর ফেসপ্যাক, বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক, দুধের সর ও বাদাম তেলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক মোটামুটি একই জিনিস। দুয়ের মধ্যে পার্থক্য হলো মাস্ক এক ধরনের মিশ্র বস্তুর উপাদানে তৈরি, যা পুরু করে মুখমণ্ডলের ত্বকে সরাসরি লাগাতে হয়। আর ফেসপ্যাক হলো ভিন্ন বস্তুর উপাদান দিয়ে তৈরি।
ধাপ-৩:
মাস্ক মুখে লাগানোর পর মুখ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় ও ত্বকের ওপর শক্ত হয়ে প্রলেপ পড়ে। কিন্তু ফেসপ্যাক সে তুলনায় ধীরে ধীরে শুকাতে থাকে। বাড়িতে মাস্ক বা ফেসপ্যাক ব্যবহারের সময় কিছুটা সতর্কতা পালন করা দরকার। যেমন মাস্ক বা ফেসপ্যাক তৈরি করার সময় যে পানি ব্যবহার করবেন সেই পানি দশ মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নেবেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক রাখার পাত্র হিসেবে কাচ বা চীনামাটির পাত্র ব্যবহার করবেন। মিশ্রণের জন্য প্লাস্টিক বা কাঠের চামচ ব্যবহার করা উচিত। মাস্ক বা ফেসপ্যাক লাগানোর সময় বা লাগানোর পর কথা বলবেন না। চোখ বন্ধ করে ২০ মিনিট বিশ্রাম করুন। এ সময় কচি শসা গোল করে কেটে চোখ ঢেকে দিন। ২০ মিনিট পর প্রথমে কুসুম গরম পানি ও পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখের মাস্ক বা ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলুন।

ইউটিউব থেকে যারা কোটিপতি শীর্ষ ১০ নাম

বছর পাঁচেক আগে ইউটিউবে নিজ অ্যাকাউন্টে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন মার্কিন নাগরিক রোমান অ্যাটউড। তিন মিনিটের সে ভিডিওর নাম দিয়েছিলেন ‘এপিক কুলার প্র্যাঙ্ক’। রাস্তা দিয়ে কেউ হয়তো হেঁটে যাচ্ছে, এক বন্ধুর সাহায্যে বড়সড় এক খালি পাত্র নিয়ে তাদের দিকে ধেয়ে যান রোমান। ভাবখানা এমন যেন সে পথিকের মাথায় বরফশীতল পানি ঢেলে দেবেন। আদতে দেখা গেল সে পাত্র খালি, আর ব্যাপারটা শুধুই মজা করার জন্য করা হয়েছে। অদ্ভুত সে কাণ্ডে বেশির ভাগ পথযাত্রী মজা পান, কেউ কেউ বিরক্ত হন। রোমানের আরেক বন্ধু পুরোটা সময় ক্যামেরার পেছনে থেকে ভিডিও করেন। সে ভিডিওই হয়ে গেল এপিক কুলার প্র্যাঙ্ক। গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৬২ লাখ ৯৫ হাজার।
রোমান অ্যাটউডের নিজ নামের সে চ্যানেলে এমন আরও ১৩১টি ভিডিও আছে। ‘রোমান অ্যাটউড ভ্লগস’ নামে আরেকটি ইউটিউব চ্যানেল আছে তাঁর। সেখানে আছে প্রায় ১ হাজার ১০৫টি ভিডিও। এই ভিডিওগুলোই তাঁর আয়ের উৎস। পরিমাণটা কত? ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত এক বছরে তাঁর আয় প্রায় ৮০ লাখ ডলার। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর সর্বোচ্চ আয় করা ইউটিউবারদের তালিকায় তাঁর অবস্থান দ্বিতীয়।
মোট বার্ষিক আয়ের বিচারে পরপর দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষ ১০ ইউটিউব চ্যানেলের তালিকা প্রকাশ করেছে
ফোর্বস। এই ১০টি চ্যানেল পরিচালনা করেন ১২ জন ইউটিউব তারকা। তাঁদের সমন্বিত বার্ষিক আয় ৭ কোটি ৫ লাখ ডলার। কেউই ৫০ লাখ ডলারের কম আয় করেননি। সবার পেশা ইউটিউবার হলেও তাঁদের কাজের ধরন কিন্তু এক না। কেউ কমেডিয়ান, কেউ গায়ক, কেউ রাঁধুনি, কেউ আবার গেমার।
গত এক বছরে দেড় কোটি ডলার আয় করেছেন সুইডিশ কমেডিয়ান ফেলিক্স আর্ভিদ উলফ শেলবার্গ। ‘পিউডিপাই’ ছদ্মনামে তিনি জনপ্রিয়। যথারীতি তাঁকে দিয়েই শুরু হয়েছে তালিকা।
ফেলিক্স শেলবার্গ
কমেডিয়ান
আয়: ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার
মূল চ্যানেল: পিউডিপাই
সাবস্ক্রাইবার: ৫ কোটি ৪ লাখ
ভিডিও ভিউ: ১ হাজার ৩৯০ কোটি
রোমান অ্যাটউড
কমেডিয়ান
আয়: ৮০ লাখ ডলার
সাবস্ক্রাইবার: ১ কোটি
ভিডিও ভিউ: ২৭৭ কোটি
লিলি সিং
র্যাপার
মূল চ্যানেল: সুপারওমেন
আয়: ৭৫ লাখ ডলার
সাবস্ক্রাইবার: ১ কোটি
ভিডিও ভিউ: ১৫৮ কোটি
অ্যান্থনি প্যাডিলা ও আয়ান হেকক্স
কমেডিয়ান
মূল চ্যানেল: স্মোশ
আয়: ৭০ লাখ ডলার
সাবস্ক্রাইবার: ২ কোটি ২৪ লাখ
ভিডিও ভিউ: ৬১১ কোটি
রোজানা প্যানসিনো
রাঁধু​িন
আয়: ৬০ লাখ ডলার
সাবস্ক্রাইবার: ৭৪ লাখ
ভিডিও ভিউ: ১৭২ কোটি
পরের পাঁচটি স্থানে রয়েছেন টাইলার ওকলি, মার্ক ফিশব্যাক, জার্মান গার্মেনডিয়া, রেট ম্যাকলাফলিন ও চার্লস নিল এবং কলিন ব্যালিংগার।
সূত্র: ফোর্বস

জেনে নিন এলোভেরার ১৭ টি উপকারিতা

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী আমাদের কাছে একটি অতি পরিচিত উদ্ভিদ। অ্যালোভেরার বাংলা নাম ঘৃতকুমারী। তবে সারাবিশ্বের মানুষ একে অ্যালোভেরা হিসাবে চিনে। এটি একটি কাণ্ডবিহীন রসাল এবং শাসযুক্ত গাছ। এই গাছটি গড়ে ৬০-১০০ সেমি লম্বা হয়। পাতা ১০-২০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পাতার দুইপাশে কাঁটা থাকে এবং পাতা দেখতে অনেকটা চ্যাপ্টা আকৃতির। এই গাছের ফুলও অনেক দর্শণীয়। অ্যালোভেরার আদি বাস উওর-আফ্রিকা এবং কেনারিদিপুঞ্জে। ক্যারলিনিয়াস সর্বপ্রথম অ্যালোভেরার নামকরন করেন। বহু বছর ধরে মানুষ অ্যালোভেরাকে ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
অ্যালোভেরার পাতার মধ্য যে স্বচ্ছ জেলির মত বস্তু পাওয়া যাই তাকে আমরা জেল বলে জানি। পাতার ঠিক নিচেই থাকে হলুদ রং এর ল্যাটিস এবং তার নিচেই এই জেল পাওয়া যায়। বহুগুণে গুণান্বিত এই উদ্ভিদের ভেষজ গুণের শেষ নেই। এতে আছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিকঅ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিনএ, বি৬, বি২ ইত্যাদি। অ্যালোভেরার জেল রুপচর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষায়ও ব্যবহার হয়ে আসছে। অনেকেই অ্যালোভেরার জুস পান করে থাকেন। অ্যালোভেরায় রয়েছে অসংখ্য বিস্ময়কর উপকারিতা যার মধ্যে ১৭টি আমি এখানে দেখাব।

অ্যালোভেরার ১৭টি অতুলনীয় উপকারিতা
১। হার্ট সুস্থ রাখতে অ্যালোভেরাঃ আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরার জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্তর করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘদিন আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে।
২। মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়।
৩। দাঁতের যত্নে অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৪। ওজন হ্রাস করতে অ্যালোভেরাঃ ওজন কমাতে অ্যালভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যাণ্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৫। হজমশক্তি বাড়াতে অ্যালোভেরাঃ হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে, যা হজমশক্তি বাড়িয়ে থাকে। অ্যালোভেরা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধেও অনেক ভাল কাজ করে।
৬। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে নিয়মিত এর জুস খাওয়া গেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। সুতরাং খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করুন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
৭। ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরাঃ  ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
৮। রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা হল অ্যান্টি ম্যাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানসমৃদ্ধ একটি গাছ। অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত পান করলে রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের টক্সিন উপাদান করে দূর করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৯। মুখের দূরগন্ধ দূর করতে অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরায় আছে ভিটামিন-সি, যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে। গবেষণাই দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরার জেল মাউথ ওয়াশ এর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
১০। চুল সুন্দর করতে অ্যালোভেরাঃ  অ্যালোভেরার গুনাগুন বলে শেষ করা যাই না, মাথায় খুশকি দূর করতে এর কোন তুলনা নেই। এমনকি ঝলমল চুলের জন্যেও অ্যালোভেরা অনেক উপকারী। সুতরাং চুলের যত্নে অ্যালোভেরা আপনার নিত্যসংগী।
১১। মুখের ঘা সারাতে অ্যালোভেরাঃ অনেকের মুখে ঘা হয়, আর এই মুখের ঘা দূর করতে অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকারী। ঘায়ের জায়গায় এলভেরার জেল লাগিয়ে দিলে মুখের ঘা ভাল হয়।
১২। ক্যান্সার  প্রতিরোধে অ্যালোভেরাঃ  গবেষণায় দেখা গেছে যে,  অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যালো ইমোডিন, যা স্তন ক্যান্সার ছড়ানো থেকে রোধ করে। এছাড়াও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যালোভেরা  অনেক কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
১৩। রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করঃ
অ্যালোভেরার অনেক গুনাগুনের মধ্যে আর একটি  হল রক্তচাপ কমাতে এর কোন তুলনা নেই। অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে।
১৪। ক্ষতিকারক পদার্থ অপসারণ করতেঃ
কিছু ক্ষতিকর পদার্থ দেহের মধ্যে প্রবেশ করে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি করতে পারে। ফলে তা দেহের জন্য মোটেও ভাল কিছু নয়।এই সকল ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে অপসারণ প্রয়োজন। অ্যালোভেরার রস পান করলে দেহের ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করতে পারে না। আর যদি প্রবেশ করেও ফেলে, তাহলেও অ্যালোভেরার জুস পানে তা অপসারণ হতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার জুসের গুন অপরিসীম।
১৫। চর্মরোগ ও ক্ষত সারাতেঃ
অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ঔষধিরও কাজ করে থাকে। বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষত সারায় এই অ্যালোভেরার জুসে। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এই অ্যালোভেরা।
১৬। ক্লান্তি দূর করতে
দেহের দুর্বলতা দূর করতে অ্যালোভেরার জুসের গুন অনেক। আপনি যদি অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত পান করেন তাহলে দেহের ক্লান্তি দূর হবে এবং দেহকে সতেজ ও সুন্দর রাখবে।
১৭। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে
অ্যালোভেরার জুসের মধ্যে যে জেল থাকে তার অনেক গুন। এই জেল নিয়মিত পানে পেটের সমস্যা দূর হবে। আর যদি সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হওয়া সম্ভাব।
এছাড়া অ্যালোভেরা জেলে প্রায় ২০ রকম অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা ইনফ্লামেশন এবং ব্যাকটেরিয়া রোধ করে হজম, বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে থাকে।

অ্যালোভেরার অসংখ্য উপকারিতার মধ্য আমি এখানে মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করেছি। আমি আশা করি, যদি অ্যালোভেরা নিয়মিত আপনি ব্যবহার করেন তাহলে অনেক রোগ-বালাই থেকে আপনি খুব সহজে দূরে থাকতে পারবেন।

এবার খুব সহজে তৈরি করুন ডিম ও দুধের পুডিং

সারা বিশ্বে ডিম ও দুধের মিশ্রনে যে খাবারটা সবচেয়ে জনপ্রিয় তা হচ্ছে পুডিং (Pudding)। আমি যত দেশে গিয়েছি এই খাবারের দেখা পেয়েছি নানান হোটেলে এবং ঘরে ঘরেই। পুডিং বানানোর প্রসেস গুলো একটু জটিল হলেও আমি মনে করি এটা খুব একটা কঠিন কাজ নয়, এর চেয়ে নানান পদের তরকারী রান্না কঠিন! হা হা হা… কিন্তু কথা থেকে যায় তবুও কেন সবাই পুডিং বানাতে পারে না! এর প্রধান কারন হচ্ছে মিশ্রন। মিশ্রনে সবাই একটু ভুলভাল করে বলেই সঠিক ভাবে পুড়িং বানাতে পারে না। কখনো নরম, কখনো শক্ত ইত্যাদি নানা সমস্যায় পড়ে যান অনেকেই।
আমি নেটে পুডিং বানানোর অনেক রেসিপি দেখেছি, প্রায় সব রেসিপি দেখে একটা বিষয় বুঝতে পেরেছি যে, বলে দিলেই যে কেহ বানাতে পারবে তা নয়, এই পুডিং বানানো একটা অভিজ্ঞতার বিষয়। যিনি জানেন তার কাছ থেকে একবার দেখে নিলেই বানানো সহজ হয়ে উঠবে। তবে আগেই বলে নেই, আপনি যখন প্রথম বানাবেন সেটা খারাপ হতে পারে এবং ২য় বার যখন বানাবেন সেটা অবশ্যই ভাল হবে।
চলুন দেখে নেই, পুরাটাই আমার নিজের হাতে বানানো, শুধু ক্যারামেলের অংশটা আপনাদের ব্যাটারী ভাবী হেল্প করে দিয়েছেন। তিনি ঘরে প্রায়ই পুডিং বানান আমাদের বড় ছেলের জন্য কিন্তু মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে আমার আগ্রহ তেমন একটা নেই বলে দেখা হয়ে উঠে নাই। আজ উনাকে হেল্প করতে বললে তিনি কিছুটা অনাগ্রহ দেখান, তাই আমি নিজেই কাজে লেগে যাই। যাবার আগে নেটে কয়েকটা পুডিং রেসিপি দেখে নেই।
এদিকে পুডিং রেসিপি নিয়ে এ যাবত আমি বেশ কয়েক বার আমার রেসিপি প্রিয় বন্ধুদের অনুরোধ পেয়েছি, ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গিয়েছি। আজ মেসেজে এক ছোট বোনের রিকেয়েষ্ট পেয়ে আর বসে থাকতে পারলাম না। তিনি লিখেছেন, “ভাইয়া, যদি সম্ভব হয়, একবার পুডিং এর রেসিপি দিন প্লিজ… নেট এ অনেক রেসিপি আছে পুডিং এর। কিন্তু, আপনি করে না দেখালে পারবো না। এটা আমার অনেক পছন্দের খাবার ভাইয়া… কিন্তু, করতে পারি না। সম্ভব হলে দেখাবেন প্লিজ… বার বার বিরক্ত করছি… দুঃখিত ভাইয়া“। আপনারাই বলুন, এর পর কি আর কোন বাঁধা মানতে পারি! 
চলুন দেখে নেই। শুধু ধাপ গুলো মনে রাখলেই হল। সহজ কাজ।
উপকরণঃ (হাফ কেজির মত বানাতে যা লাগবে)
– দুধ, ৭৫০ এমএল বা হাফ লিটারের বেশী (যা জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে, পরে ঠান্ডা করে নিতে হবে)
– ডিম, চারটে
– চিনি, ৫/৭ টেবিল চামচ (চিনি বেশী পছন্দ করলে আরো দিতে পারেন)
– হাফ টেবিল চামচ ঘি বা মাখন/বাটার (গলিয়ে)
ধাপ সমূহঃ এই ধাপ গুলো মনে রাখলেই হল।
১। দুধ প্রসেস
২। ডিম চিনি ও ঘি’র মিশ্রন
৩। ক্যারামেল দিয়ে পুডিং রান্না বাটি প্রসেস
৪। দুধ ও ডিম (চিনি+ঘি) মিশ্রন ফাইন্যাল প্রসেস এবং ক্যারামেলের বাটিতে রাখা
৫। রান্না ও টেষ্ট (সঠিক হল কি না)
৬। পরিবেশনা (ঠান্ডা চাইলে ফ্রীজে রাখতে হবে)
প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)
১। দুধ প্রসেস

হাফ লিটার ফুল ক্রিম দুধ নিন। বাজারে পাওয়া ইউএসটি মিল্ক নিলেই ভাল বা খাঁটি গরুর দুধ নিতে পারেন, পানি মিশানো নয়।

জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে ফেলুন, মোটা মুটি এককাপ গাঢ় দুধ হলে চলবে। দুধ চুলায় দিয়ে কোথায় যাবেন না, মনে রাখবেন দুধ আগুনে উপছে পড়ে কাজেই কাছে থাকুন এবং নাড়াতে থাকুন। দুধ গাঢ় হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। (কিছুতেই গরম নয়!)
২। ডিম, চিনি ও ঘি’র মিশ্রন

ডিম নিন।

ভাল করে ফাটিয়ে নিন, বিটার দিয়ে ফাটালো ভাল। শুধু মনে রাখবেন যেন, ভাল মিশ্রন হয়। এবার চিনি দিন। যারা বেশী মিষ্টি পছন্দ করেন তারা বেশি দিতে পারেন তবে আমি মনে করি চিনি কম খাওয়াই ভাল এবং টেবিল চামচে ৫/৬ চামচ দিলেই হবে। চিনি দিয়েও ভাল করে মিশিয়ে নিন।

এবার হাফ টেবিল চামচ ঘি বা বাটার (গলিয়ে) দিন এবং আবারো ভাল করে মিশিয়ে নিন।  (আমি বাটার বা মাখন দিয়েছি)

এই হয়ে গেলো ডিম, চিনি, ঘি এর মিশ্রন।
৩। ক্যারামেল দিয়ে পুডিং রান্না বাটি প্রসেস

পুডিং বাটিতে ক্যারামেল (চিনি) বসানোর প্রসেস দেখে নিন। যে বাটিতে পুডিং বসাবেন সেই বাটি অবশ্যই এলুমিনিয়ামের হতে হবে। (এই ধরনের বাটি যে কোন গ্রোসারীতে পাওয়া যায়, আমরা টিফিনের বাটিতে বসিয়েছিলাম) বাটিতে এক চা চামচ চিনি ছিটিয়ে দিন। বেশী নয়।

দেখুন, এভাবে এবং এবার কয়েক চামচ পানি দিন এবং চুলায় আগুনের (মাধ্যম) উপর দিন।

এই রকম অবস্থায় এসে যাবে, চিনি পানিতে গলে এমন হবে।

এবং সিরা হয়ে লাল হতে থাকবে। আগুন কমিয়ে দিন এবং নাড়িয়ে এই লাল সিরা পুরা বাটিতে বিচিয়ে লাগিয়ে দিন। কাজটা সাবধানে করতে হবে। বাটি গরম সুতারাং লুচনী দিয়ে ধরে নিন।

ব্যস, বাটিতে ক্যারামেল বসে গেল এবং চুলা থেকে সরিয়ে ঠান্ডা বাটি ঠান্ডা করে নিন।
৪। দুধ ও ডিম (চিনি+ঘি) মিশ্রন ফাইন্যাল প্রসেস এবং ক্যারামেলের বাটিতে রাখা

মিশ্রন! ঠান্ডা দুধ, ডিম এবং চিনি ঘি এর মিশ্রনে ঢালুন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন যদি দুধ সামান্য গরম থাকে তবে ডিমকে জমাট করে ফেলবে। কাজেই দুধ খুব ঠান্ডা করে নিয়েই মিশাতে হবে।

এই সেই ফাইন্যাল মিশ্রন। ভাল করে ফাটিয়ে মিশিয়ে নিন।

এবার এই মিশ্রন ক্যারামেলের বাটিতে ঢালুন এবং এই সাইজেই পুড়িং বের হয়ে আসবে।

ব্যস, পুডিং এর বাটি রেডী!
৫। রান্না ও টেষ্ট (ঠিক হল কি না)

এবার মুল রান্না। একটা বড় খোলা পাত্রে পানি নিন এবং তাতে এমন একটা স্ট্যান্ড বসিয়ে নিন। স্ট্যান্ড না থাকলে পানি কম দিবেন যাতে পুড়িং এর বাটি বসালে নড়বে না।

পাত্রের মাঝামাঝি পুডিং এর বাটি বসিয়ে দিন।

পুডিং এর বাটিতে একটা ঢাকনা দিন।

এবার বড় পাত্রের ঢাকনা দিন।

আগুন মাধ্যম আঁচে চলবে। মিনিট ৩০ লাগতে পারে। এখানে একটু ধৈর্য ধরতে হবে! হা হা হা, আগুন বাড়িয়ে দিলেও হয় কিন্তু তা করা উচিত হবে না। পানি ফুটে বিপদ হতে পারে তাই আস্তে আস্তে হলেই ভাল।

পানি এভাবে ফুটবে, একটু সময় নিয়ে দেখুন, চুলা ছেড়ে যাবেন না।

আগুন কমিয়ে দিলে পানি ফুটা বন্ধ হবে এবং ফুডিং এর বাটির ঢাকনা উলটে একটা টেষ্ট করে দেখুন পুডিং হল কি না। একটা চামচের পিছনের অংশ পুডিং এ প্রবেশ করান যদি দেখেন চামচ সহজেই প্রবেশ করছে এবং পুডিং এর কাই লেগে নাই, তা হলে পুডিং হয়ে গেল। আর যদি লাগে তবে আবারো ঢাকনা দিয়ে আরো কিছুক্ষন পানি গরম করুন।

হয়ে গেলে তুলে রাখুন, ঠান্ডা হতে দিন। একটা পরিবেশনের প্লেট নিন।

একটা ছুরির মাথা দিয়ে পুড়িং এর চার পাশ একটু নাড়িয়ে দিন। এটা এই জন্য করবেন যেন বাটি উলটে দিলে পুরা পুড়িং খুলে যায়।

বাটির উপরে প্লেট ধরে খুব আলতো ভাবে উলটে দিন। জোর জবর দোস্তি করার দএকার নেই। পুরোটাই খুলে পড়বে।

এই দেখুন। (আমি বাটিটা একটা বাকা বসিয়ে ছিলাম বলে মাঝে একটু নিচু হয়ে গেছে, ব্যাপার না)
৬। পরিবেশনা (ঠান্ডা চাইলে ফ্রীজে রাখতে হবে)

পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত, চাইলে গরম গরম খেয়েও মজা লুটতে পারেন, ইচ্ছা আপনার।

এই নিন ফাইন্যাল প্রোডাক্ট! ফ্রীজ থেকে বের করার পর।

ইচ্ছানুযায়ী পরিবেশন করুন।

সত্যই দারুন! আমার রান্না টেষ্টার খেয়ে জানালো, “বাবা আশা করি এবার ঈদের দিন আর একটা বানিয়ে দেবে”। আমি বললাম, তোমার মা তো তোমাকে প্রায়ই বানিয়ে খাওয়ায়। সে বলল, “তুমি চিনির পরিমান খুব ভাল দিয়েছ এবং তোমার হাতের বানানো পুড়িং এর রংটাও বেশ সুন্দর হয়েছে”!
আমি নিজেও সত্যই আনন্দিত, আমি নিজেও এই প্রথম পুডিং বানালাম এবং দেখলাম কাজটা তেমন কঠিন নয়। আমি বানানো এবং ছবি তোলার জন্য আমার কিছুটা বেশী কষ্ট হয়েছে কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কাজ করে গেলে এটা তেমন কিছুই নয়! আমি আশা করি আমার এই রেসিপি দেখলে, সবাই পুডিং বানাতে পারবেন এবং আজ থেকে প্রতি ঘরে ঘরেই পুডিং হবে!

মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

মাত্র ৭। দিনে ব্রণ ও ব্রনের দাগ দূর করার সহজ উপায় (১০০০%)



এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় :

- দুটো বাদাম পিষে তার মধ্যে দুধ ও এক চামচ শুকনো কমলা লেবুর গুড়ো মিশিয়ে আস্তে আস্তে মুখে ঐ পেস্টটা লাগান৷ বেশ কিছুক্ষণ রাখার পর ঐ প্যাকটা যখন মুখে শুকিয়ে যাবে তখন পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ অল্প দিনের মধ্যেই আপনার মুখের সব দাগ দূর হযে যাবে৷

- মুসুর ডাল গুড়ো করে তার মধ্যে ডিমের হলুদ অংশটা মেশান৷ রোদের মধ্যে এই পেস্টটা শুকিয়ে শিশির মধ্যে ভরে রেখে দিন৷ প্রতিদিন রাতে শোবার আগে ২ ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে ১ চামচ দুধ মিশিয়ে মুখে লাগান৷ আধ ঘন্টা রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন৷ এতে আপনার মুখের রঙ ফর্সা হয়ে যাবে৷

- ত্বক ভালো রাখার একমাত্র উপাদান হল পানি। প্রচুর পানি খেলে শরীর এর টক্সিন বের হয়ে যায়। রুক্ষতা থাকে না। ত্বক সতেজ থাকে। ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক নানা জিনিস ই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলের রস, শরবতের মতো তরল জাতীয় খাবার বেশি খাবেন। কোন ধরনের দুশ্চিন্তা করবেন না।মুখের কালো ছাপ দূর করতে হলে দুধের স্বরের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান৷ কিছুক্ষন রাখার পরে গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন৷

- কমলা লেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। মসুরির ডাল আর চাল ভিজিয়ে ভালো করে পিষে নিন। ওই পেস্টের মধ্যে চন্দন পাউডার, মুলতানি মাটি, কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন। এই মিশ্রণের মধ্যে দুই চামচ দুধও মিশিয়ে নিতে পারেন। মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে নিন। এই প্যাকটা নিয়মিত মুখে লাগান। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। ব্রণের দাগও দূর হয়ে যাবে।

- চার-পাঁচটা নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটা যদি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে এর মধ্যে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।


ঘরে বসেই ফুসকা তৈরি করুন একদম সহজ।।

ফুচকা
ফুচকা পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একটু কষ্ট করলেই আমরা ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারি মুখরোচক ফুচকা। বাহিরের নোংরা পরিবেশে ঘরেই বানিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে উপভোগ করুন মজাদার ফুচকা।)
উপকরণ :
১. আটা -১/২ কেজি বা আড়াই কাপ।
২. ময়দা- সোয়া কাপ।
৩. তাল মাখনা-৫ চা চামচ
৪. লবন-১ চা চামচ।
৫.পানি- প্রয়োজনমত
প্রস্তুত প্রণালী :
আটা, ময়দার সাথে তাল মাখনা ও লবন ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর অল্প অল্প পানি দিয়ে শক্ত খামির তৈরী করে নিন। সম্পূর্ন খামিরটাকে ১২ ভাগে ভাগ করে নিন। গোল করে রুটি বানিয়ে পাতলা ১ টি রুটির উপর শুকনো আটা ছড়িয়ে আর ১ টি রুটি দিয়ে হাত দিয়ে হালকা করে চেপে আবার একসঙ্গে বড় করে বেলুন। এবার কাটার দিয়ে কেটে গরম তেলে মুচমুচে করে ভেজে তুলুন।
টক তৈরী:
১. তেঁতুলের গোলা-১ কাপ।
২. চিনি- আধা কাপ।
৩. ধনেপাতা মিহি কুচি-২ টেবিল চামচ।
৪. কাঁচামরিচ-৪-৫ টি
৫.শুকনা মরিচ কুচি-৪-৫ টি।
৬.বিট লবন-১/২ চা চামচ।
৭.পানি ঝরানো দই-১ কাপ।
৮.লবন-১/২ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি :
তেঁতুল গোলা, চিনি, লবন, শুকনা মরিচ, বিট লবন দিয়ে তেঁতুল কে ফুটিয়ে আন্দাজ মত ঘন করে নামিয়ে ঠান্ডা হলে বাকি উপকরন দিয়ে ভাল মত ফেটিয়ে নিন। টক তৈরী হয়ে গেল।
পুর তৈরী:
১. সিদ্ধ আলু হাতে ভেঙে নেওয়া ১ কাপ।
২. মটর ডাল সিদ্ধ -১ কাপ।
৩. পিঁয়াজ মিহি কুচি-১/২ কাপ।
৪. কাঁচা মরিচ মিহি কুচি- ঝাল বুঝে।
৫.ধনিয়াপাতা/পুদিনাপাতা – আপনার ইচ্ছা।
৬. চাট মশলা-১ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি :
সব একসঙ্গে হাত দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।
১-২ ডিম কড়া সিদ্ধ করে গ্রেটার দিয়ে ঝুরি করে নিবেন।
ফুচকা সাজানো:
প্রথমে ফুচকার উপরের অংশ হাত দিয়ে ভেঙে ভিতরে পুর দিয়ে উপরে ধনিয়াপাতা কুচি, ডিম ঝুরি দিয়ে দিবেন।প্লেট এ নিয়ে অন্য একটি বাটিতে টক দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার মুখরোচক ফুচকা।
***টিপ্স:
১. ফুচকা গরম তেলে মুচমুচে করে ভাজতে হবে। তা না হলে পরে নেতিয়ে যাবে।
২. টকের মধ্যে চিনির পরিমান আপনি চাইলে বাড়িয়ে দিতে পারবেন।
৩. বুট/ছোলার ডাল ও ব্যাবহার করতে পারেন। আপনি চাইলে টমেটো ও দিতে পারেন।
৪. অবসর সময়ে ফুচকা বানিয়ে এয়ারটাইট পটে রেখে দিতে পারেন। তাহলে ঝামেলা কম মনে হবে।
৫. যে ফুচকাগুলো ভেঙে যাবে বা ফুলবেনা ঐ গুলো আপনি ইচ্ছা করলে ভেঙে পুরের সাথে দিয়ে দিতে পারেন। খেতে ভাল লাগবে। অথবা চটপটির উপরেও দিতে পারবেন।
৬. ডাল সিদ্ধ না হলে এক চিমটি খাবার সোডা দিয়ে দিবেন।
৭. সাজানোর সময় প্রয়োজন মত আবার একটু টালা শুকনো মরিচ গুড়ো ও চাট মশলা ছিটিয়ে দিবেন। দেখতে সুন্দর লাগবে এবং খেতেও মজা হবে।
ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।